জেলা পরিষদ বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। আজকের এ জেলা পরিষদ একদিনে গড়ে উঠেনি। এর কাঠামো, পরিধি ও কার্যক্রমও একদিনে এমন সুসংগঠিত হয়নি। ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনামলে কার্যক্রম শুরু হয়ে বর্তমান অবস্থায় উপনীত হয়েছে।
১৮৭০ - চৌকিদারী আইন পাসের মাধ্যমে পল্লী অঞ্চলে এক স্তর বিশিষ্ট স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়। আর এর মাধ্যমে বর্তমান যে জেলা পরিষদ তার গোড়া পত্তন ঘটে।
১৮৭১ - বেঙ্গল এ্যাক্টের অধীনে জেলা রোড কমিটি গঠিত হয়।
১৮৮৫ - “লোকাল সেলফ গভর্নমেন্ট এ্যাক্ট” প্রণীত হলে ঐ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানই ডিস্ট্রিক্ট বোর্ড (জেলা বোর্ড) নামে আত্মপ্রাকাশ করে। সে সময় প্রত্যেক মহকুমায় লোকাল বোর্ড গঠিত হয়। এ লোকাল বোর্ডই ডিস্ট্রিক্ট বোর্ডের (জেলা বোর্ড) নির্বাচক মন্ডলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করত এবং তাদের ভোটেই জেলা বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত হত। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বোর্ড চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতেন।
১৯৩৬ - লোকাল সেলফ গভর্নমেন্ট এ্যাক্ট এর সংশোধিত আইনে লোকাল বোর্ডের বিলুপ্তি ঘটে। তবে জেলা বোর্ড কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকে।
১৯৫৯ - মৌলিক গণতন্ত্র আদেশে ডিস্ট্রিক্ট বোর্ড (জেলা বোর্ড) ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল হিসাবে প্রতিষ্ঠা পায়। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের ভোটে ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচনের বিধান করা হয় এবং নির্বাচিত সদস্যদের সমসংখ্যক জেলা পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তাকে সদস্য হিসাবে অন্তর্ভূক্তির ব্যবস্থা করা হয়। এতে জেলা প্রশাসক পদাধিকার বলে চেয়ারম্যান এবং নির্বাচিত সদস্যদের মধ্য হতে একজন ভাইস চেয়ারম্যান পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হতেন। ১৯৬৩ ও ১৯৬৬ সালে নির্বাচনও হয়।
১৯৭২ - ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলকে পুনরায় জেলা বোর্ড হিসাবে নামকরণ করা হয় এবং জেলা প্রাশাসককে কার্যাবলী পরিচালনা ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেয়া হয়।
১৯৭৬ - “স্থানীয় সরকার অধ্যাদেশ” জারীর মাধ্যমে জেলা বোর্ডের নাম পুনরায় পরিবর্তন করে জেলা পরিষদ করা হয়। এ অধ্যাদেশে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত জেলা প্রশাসককে এর চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালনের বিধান রাখা হয়।
১৯৮৮ - “স্থানীয় সরকার (জেলা পরিষদ) আইন” প্রণীত হলে প্রতিনিধি সদস্য, মনোনীত সদস্য, মহিলা সদস্য এবং কর্মকর্তা সদস্যদের সমন্বয়ে জেলা পরিষদ গঠন করা হয়। ১৯৮৯ সালে চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়। ১৯৯০ সালে সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে এর পরিবর্তন ঘটে।
১৯৮৮ - ১২ অক্টোবর গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০০০ - জেলা পরিষদ আইন প্রণয়ন করে পরোক্ষ নির্বাচন পদ্ধতিতে ১ জন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য এবং সংরক্ষিত আসনে ৫ জন মহিলা সদস্য সমন্বয়ে জেলা পরিষদ গঠনের বিধান করা হয়। চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ নির্বাচক মন্ডলীর ভোটে নির্বাচিত হবেন। আইন প্রণয়নের পর এ পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়নি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে জেলা পরিষদ কার্যকরী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
২০১১ - বর্তমান সরকার জেলা পরিষদের আইন ২০০০ এর ১৯ নং আইন এর ৮২ ধারা বলে জেলা পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ দেয়।
২০১৬ - নির্বাচক মন্ডলীর ভোটে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমানে নির্বাচিত ১ জন চেয়ারম্যান ও ২০ জন সদস্য সমন্বয়ে জেলা পরিষদ পরিচালিত হচ্ছে।
২০২২- ২০০০ সনের ১৯নং আইনের ধারা ৪ এর সংশোধন করে ১জন চেয়ারম্যান, সংশ্লিষ্ট জেলার মোট উপজেলা সমসংখ্যক সদস্য এবং উল্লেখিত সদস্য-সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ(নিকটবতী পূর্ণ সংখ্যায়) নারী সদস্য
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস